| “বাংলায় একটি কথা বলা হয়— ‘ভজন কর সাধন কর, মরতে জানলেই হয়’। অর্থাৎ, তুমি হয়তো খুব বড় ভক্ত—তা ঠিক আছে। কিন্তু আসল পরীক্ষা হবে তোমার মৃত্যুর সময়—তখন তুমি কীভাবে কৃষ্ণকে স্মরণ করো। সেটাই হবে চূড়ান্ত পরীক্ষা।মৃত্যুর সময় যদি আমরা ভুলে যাই, যদি আমরা টিয়াপাখির মতো হয়ে যাই—যেমন টিয়াপাখিও জপ করে, ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ’। কিন্তু যখন বিড়াল তার গলা ধরে ফেলে—তখন আর ‘কৃষ্ণ’ নয়, তখন শুধু—‘ট্যাঁহ! ট্যাঁহ! ট্যাঁহ!’ আর কৃষ্ণ থাকে না, আর কৃষ্ণ থাকে না। অতএব, কৃত্রিম অনুশীলন আমাদের সাহায্য করবে না। তখন শুধু ‘ট্যাঁহ, ট্যাঁহ’। ‘কফ-পিত্ত-বাতৈঃ কণ্ঠাবরোধন-বিধৌ স্মরণং কুতস্তে’ (মুকুন্দমালা স্তোত্র ৩৩)। সুতরাং যদি আমরা সত্যিই ঘরে ফিরে যেতে চাই—ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে চাই—তাহলে শুরু থেকেই আমাদের কৃষ্ণভাবনার অনুশীলন করতে হবে। এমন নয় যে মৃত্যুর দুই-তিন বছর আগের জন্য রেখে দেব। ওহ, এটা এত সহজ নয়। এটা মোটেই সহজ নয়।”
|